নেত্রকোণার বারহাট্টা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স প্রতিষ্ঠার দীর্ঘ ৩৭ বছর পর সোমবার (২২ মে) প্রথম অপারেশন থিয়েটার (ওটি) চালু করা হয়েছে। একজন প্রসূতির সফল সিজারিয়ান অপারেশনের মাধ্যমে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান ওটি চালু করেন।
এ সময় উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ মাইনুল হক কাসেম, উপজেলা নির্বাহী অফিসার এস এম মাজহারুল ইসলাম, মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক কমান্ডার শাহ মোহাম্মদ আব্দুল কাদের, গাইনকোলজিস্টসহ অন্যান্য ডাক্তার, নার্স ও স্বাস্থ্য বিভাগের কর্মকর্তা-কর্মচারীগণ উপস্থিত ছিলেন। হাসপাতালের প্রথম সিজারিয়ান অপারেশনে জন্ম নেওয়া নবজাতকের (ছেলে) নাম রাখা হয়েছে ‘বীর’।
জানা যায়, বিগত ১৯৮৫ সালে বারহাট্টায় ৩০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতাল প্রতিষ্ঠা করা হয়। পরবর্তীতে এই হাসপাতালটিকে ৫০শয্যায় উন্নীত করা হয়েছে। অবকাঠামোগত সুবিধা থাকলেও ওটি সহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ অনেক বিভাগে সাজ-সরঞ্জাম ও প্রয়োজনীয় লোকবলের অভাবে চালু করা সম্ভব হয়নি। হাসপাতালে এনসথেসিয়া যন্ত্রপাতি ও গাইনকোলজিস্টের অভাব ছিল। এতে জরুরী সেবাদান, বিশেষ করে সিজারিয়ান অপারেশনের জন্য প্রসূতি মায়েদের নেত্রকোণা জেলা সদরে প্রেরণ করা হতো। সম্প্রতি, মদন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে পুরাতন এনেসথেসিয়া মেশিন এনে মেরামত করা হয়েছে। মোহনগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স-এর গাইনি বিভাগের একজন ডাক্তারের সহায়তায় এখানে সিজারের কাজ পরিচালনা করা হবে।
সদ্য জন্ম নেওয়া নবজাতকের বাবা আসমা ইউনিয়নের লাউফা গ্রামের হীরা মিয়া বলেন, ‘হাসপাতালে প্রথম সিজার হয়েছে। এ জন্য প্রথমে কিছুটা ভয়ে ছিলাম। কিন্তু সুষ্ঠুভাবে সিজার সম্পন্ন হওয়ায় খুব ভাল লাগছে। অনেক টাকা খরচ ও দূর্ভোগের হাত থেকেও বেঁচে গেছি। ডাঃ মোস্তাফিজুর রহমানকে ধন্যবাদ জানাই।’
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, ‘দীর্ঘদিন পরে হলেও আল্লাহর রহমতে আমি ওটি চালু করতে সক্ষম হয়েছি। প্রথম সিজারিয়ান অপারেশনেও আমরা সফল হয়েছি। হাসপাতালের সকল ডাক্তার ও নার্সগণ সহযোগিতা করেছেন। মা’সহ নবজাতক সুস্থ আছেন। তাদেরকে কেবিনে রাখা হয়েছে। নিবিড় পর্যবেক্ষণের মাধ্যমে এখানেই তাদের সেবা দেওয়া হবে।